Posts

রাসায়নিক বিক্রিয়া

Image
                                              রাসায়নিক বিক্রিয়া ১)  সংযোজন বিক্রিয়াঃ-  যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে ,  যেমনঃ-  NH3 + HCL  → NH4CL, . ২)  বিযোজন বিক্রিয়াঃ-  যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ বিভক্ত হয়ে দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগে পরিনত হয় তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে ,  যেমনঃ- HCL →  H2 + CL2 . ৩)    দ্বিবিযোজন ( বিনিময় ) বিক্রিয়াঃ-  যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন যৌগের অণুর মৌল স্থান অদল বলদ করে বা বিনিময় করে একাধিক নতুন অণু গঠন করে তাকে বিনিময় বিক্রিয়া বলে ,  যেমনঃ-  AgNO3 + NaCL  →  AgCL + NaNO3, . ৪)  প্রতিস্থাপন বিক্রিয়াঃ-  যে রাসায়নিক একটি মৌল অন্য একটি যৌগের অণুর এক বা একাধিক পরমাণুকে সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে ,  যেমনঃ-  Zn + H2SO4  → ZnSO4 + H2. . ৫)  প্রশমন বিক্রিয়াঃ-  যে বিক্রিয়ায় একটি এসিড বা একটি ক্ষারকের সংযোগে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে ,  যেমনঃ-  2HCL + MgO  →  MgCl2 + H2

পদার্থবিজ্ঞান হবে এবার আরও সহজ

Image
  পদার্থবিজ্ঞান   ( Physics ) আমার কাছে এক রহস্যময় বিষয়। অতিমাত্রায় কাঠখোট্টা মনে হয় অনেকের কাছেই। এই জিনিস পড়তে নিলে বেশিরভাগই আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। তখন খুব অসহায় লাগে। অতিমাত্রায় কাঠখোট্টা মনে হয় অনেকের কাছেই। তাই ঘেটেঘুটে একটি নোট তৈরী করলাম আমার এবং আমার সমগোত্রীয়দের জন্য, শুধুমাত্র  পদার্থবিজ্ঞান   বুঝার জন্য! শুরু করি… লেকচারের পূর্বে বিষয়বস্তু (Topic)পড়া : কোনো বিষয় নিয়ে পড়ার সময় আগে শুধু রিডিং করে তা বুঝতে ও নিজে নিজে তা আয়ত্ত করার চেষ্টা করতে হবে। নিজের পূর্বের পঠিত বিষয়গুলোর মাধ্যমে নতুন বিষয়টির সাথে আন্তঃসম্পর্ক খুঁজতে হবে, ও নিজের কনসেপ্ট ডেভেলপ করতে হবে। এর মধ্যে আবার ম্যাথটিকাল টার্মগুলোর পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো শক্ত ধারণা পোষন না করাই  ভাল। ক্লাসগুলোতে মনযোগ দেয়া : পূর্বে নিজের মাঝে তৈরী করা কনসেপ্টগুলোকে এই সময়ে পুরোপুরি স্বচ্ছ করে নিতে হবে। দূর্বোধ্য অংশগুলো এই সময়েই ক্লিয়ার করে নিতে হবে। স্যার যখন ম্যাথমেটকাল টার্মগুলো প্রতিপাদন করবেন তখন পুরো Derivation টি মনে না থাকলেও অন্তত “পর্যায়ক্রমিক যা ঘটছে” তার আপনার সাধারন ধারনা রাখুন। ক্লাসগুলো চলাকালীন  নোট করুন ও স্য

সূত্রে সূত্রে মহাবিশ্ব : কেপলারের ২য় সূত্র

Image
কেপলারের প্রথম সূত্রটি আমরা শিখেছি । এবার আমরা কেপলারের ২য় সূত্রটি শিখব । এটি নিচে বর্ণনা করা হলো - গ্রহ এবং সূর্যের সাথে সংযোজকারী ব্যাসার্ধ রেখা কক্ষপথে সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে (A line joining a planet and sun sweeps out equal areas during equal intervals of time)। আচ্ছা ব্যাপারটি একটা চিত্রের সাহায্যে দেখা যাক- কোনো গ্রহ যে বেগে সূর্যের চারদিকে ঘুরছে তা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। একটি গ্রহ যখন সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে তখন তার গতি বেশি থাকে এবং সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করলে এর গতি কমে যায়।   যদি সূর্যের কেন্দ্র থেকে গ্রহের কেন্দ্র পর্যন্ত একটি সংযোগ সরলরেখা কল্পনা করা হয়, সেই কল্পিত রেখাটি সমান সময়ে সমান দূরত্ব অতিক্রম করবে। ছবি থেকে তোমরা দেখতে পারছ গ্রহটি যখন সূর্যের কাছাকাছি অবস্থান করে তখন যে ক্ষেত্রফলের সৃষ্টি হয় তা একটি ছোট প্রশস্ত ত্রিভুজের মত। কিন্তু গ্রহটি যখন সূর্য থেকে দূরে অবস্থান করে তখন ক্ষেত্রফলটি হয় একটি সরু, লম্বা ত্রিভুজের মত। কেপলারের দ্বিতীয় সূত্র মতে, এই ক্ষেত্রফলগুলোর আকার যেমনই হোক না কেন এরা পরস্পর সমান হবে।

বিজ্ঞান আসলে কি??

Image
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ভাবে বিজ্ঞান   বেবহার  করে থাক। আমরা নানাভাবে প্রতিদিন বিজ্ঞানের   উপর নির্ভরশীল। কিন্তু  আমরা জানি না যে বিজ্ঞান আসলে কি???? চলুন আজ জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞান   আসলে কি?????                                 বিজ্ঞান     আসলে কি?? বিজ্ঞান    আমাদের জীবনকে প্রসারিত ও সমৃদ্ধ করে, আমাদের কল্পনাশক্তি প্রসারিত করে এবং আমাদেরকে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বন্ধন থেকে মুক্তি দেয়। আমেরিকান ফিজিকাল সোসাইটি আধুনিক বিজ্ঞানের   যেসব আদেশ তার সাফল্যের জন্য দায়ী তা নিশ্চিত করে। বিজ্ঞান  মহাবিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্রহ করা এবং পরীক্ষার যোগ্য আইন এবং তত্ত্বগুলিতে সেই জ্ঞানকে সংগঠিত ও ঘনীভূত করার নিয়মতান্ত্রিক উদ্যোগ। বিজ্ঞানের  সাফল্য এবং বিশ্বাসযোগ্যতা বিজ্ঞানীদের স্বেচ্ছায় নোঙ্গর করা হয়েছে: তাদের ধারণাগুলি এবং ফলাফলগুলি অন্যের দ্বারা স্বতন্ত্র পরীক্ষার এবং প্রতিরূপে প্রকাশ করুন। এর জন্য ডেটা, পদ্ধতি এবং উপকরণগুলির উন্মুক্ত বিনিময় প্রয়োজন। আরও সম্পূর্ণ বা নির্ভরযোগ্য পরীক্ষামূলক বা পর্যবেক্ষণমূলক প্রমাণের মুখোমুখি হলে পূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলি ত্যাগ বা সংশ

সূত্রে সূত্রে মহাবিশ্ব: প্রশ্নের উত্তর ১

Image
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের বিভিন্ন  সূত্র   দরকার।গণিতের জন্য আমাদের  সূত্রে র   প্রয়োজন। অনেক বিজ্ঞানী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন  সূত্র   আবিষ্কার করেছিলেন।তাদের থেকে বিজ্ঞানী কেপলার বিভিন্ন  সূত্র   আবিষ্কার করেছিলেন । আমরা আজ সেগুলি সম্পর্কে কথা বলব প্রশ্নটা ছিল যেহেতু সূর্যকে কেন্দ্র করে আটটি গ্রহ বিভিন্ন কক্ষপথে ঘুরছে সেহেতু তাদের ফোকাসও তো ভিন্ন হবার কথা । কিন্তু সূর্য তো একটা । কীভাবে সম্ভব? উপরের চিত্রে দেখানো হলো কিভাবে বিভিন্ন গ্রহের কক্ষপথ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও সূর্যকে একটি ফোকাসে রেখে উপবৃত্তাকার পথে ঘোরে  । পরের লেখাটি হবে কেপলারের গ্রহের গতিসংক্রান্ত ২য় সূত্র  নিয়ে ।

মৌলিক সংখ্যাগুলির পিছনে গোপনীয়তা

Image
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের   মৌলিক  সংখ্যা    প্রয়োজন । কিছু   মৌলিক  সংখ্যা     যাদুর মতো।  এই  মৌলিক  সংখ্যা     নীচে দেওয়া আছে ।                             মৌলিক  সংখ্যা   গুলির পিছনে গোপনীয়তা ১. ১৯৭৯৩৩৯৩৩৯ এই মৌলিক সংখ্যা যার ডান দিক থেকে এক এক করে অঙ্ক কমিয়ে আনলেও একটি মৌলিক সংখ্যা হয়। ২. 4n+1 ধরনের মৌলিক সংখ্যা কে দুটি বর্গের যোগফল হিসাবে লেখা যায়। ৩. ফিবোনাচ্চি মৌলিক সংখ্যা ২,৩,৫,১৩,৮৯ ৪.(৮২৮১৮০৭৯..........১০৯৮৭৬৫৪৩২১) এটি ১৫৫ অঙ্কের একটি মৌলিক সংখ্যা । এটি বাম দিক থেকে শুরু কর ৮২ পর্যন্ত বিস্তৃত। ৫.যেসব মৌলিক সংখ্যা কে ৪ দ্বারা ভাগ করলে ভাগশেষ 1 থাকে সেগুলোকে দুটি সংখ্যার বর্গ রূপে লেখা যায়। ৬.যেকোনো দুটি মৌলিক (২ বাদে) সংখ্যা র যোগফল যৌগিক হয়। এর পরের পোস্ট আরো এমন মজার মজার গণিত এর সম্পর্কে জানতে পারবে। সেজন্য এই সাইট টি subscribe করে রাখুন। For more information please join our Group on facebook group

গ্রহের গতিসংক্রান্ত কেপলারের প্রথম সূত্র

Image
                                                        সূত্রে সূত্রে মহাবিশ্ব                     গ্রহের গতিসংক্রান্ত কেপলারের প্রথম সূত্র আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের বিভিন্ন সূত্র   দরকার।গণিতের জন্য আমাদের সূত্রে র  প্রয়োজন। অনেক বিজ্ঞানী বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সূত্র   আবিষ্কার করেছিলেন।তাদের থেকে বিজ্ঞানী কেপলার বিভিন্ন সূত্র   আবিষ্কার করেছিলেন । আমরা আজ সেগুলি সম্পর্কে কথা বলব। আমরা যদি মহাবিশ্বের বিভিন্ন বস্তুর অবস্থান, ঘূর্ণনের সময়কাল, বেগ ইত্যাদির সূত্র নিয়ে আলোচনা করতে চাই তাহলে আমাদের প্রথমেই শুরু করা উচিত কেপলারের গ্রহের গতিসংক্রান্ত সূত্র দিয়ে । এ পর্বে আমরা শুধু প্রথম সূত্র টি আলোচনা করব । তবে প্রথম সূত্র টি বোঝার আগে আমাদের দুটি বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত । সেগুলো হলো - উপবৃত্ত (Ellipse) কেন্দ্রবিন্দু বা ফোকাস (Focus)                                                                                                        উপবৃত্ত (Ellipse) : উপবৃত্ত হলো একটি বিশেষ বক্ররেখা যার মধ্যে অবস্থিত দুইটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে উপবৃত্তের উপর যেকোনো বিন